• শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সুগারমিল কর্মকর্তা কর্মচারিদের মানববন্ধন ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত অফিসে বসেই ধূমপান পিআইও’র প্রকল্পে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ চাষিরাই পারে ঠাকুরগাঁও সুগারমিলকে টিকিয়ে রাখতে-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ খতিবের এমফিল ডিগ্রি অর্জন যৌন কেলেঙ্কারি ফাঁস, কলেজ অধ্যাপকের প্রত্যাহারের দাবি কৃতি শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড়দের সম্মাননা দুদক মামলার আসামি শহিদুলের দপ্তরে দপ্তরে তদবির, সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের হুমকি অপপ্রচার ঠাকুরগাঁওয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে আগুন, আটক-১ অবৈধ দখলে উপজেলা পরিষদ আবাসিক ভবনভাড়া বকেয়া দুইলাখ পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের

আগুন রাঙা ফাগুনেই জন্মেছিলেন বসন্ত বাতাসের শিল্পী

সাংবাদিকের নাম / ৪৫ জন দেখেছেন
আপডেট : শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ। শাহ আব্দুল করিম ১৯১৬ সালের ২ ফাল্গুন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধন গ্রামে এক কৃষক পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ইব্রাহীম আলী ও মায়ের নাম নাইওরজান। শাহ আব্দুল করিমের ছেলেবেলা কেটেছে চরম দারিদ্র্য ও দুঃখ-কষ্টে।

ফলে কোনো স্কুল-কলেজে ভর্তি হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অর্জনের সুযোগ পাননি তিনি। গ্রামে ছিল না স্কুল-কলেজ। আর দরিদ্র হলে তো কথাই নেই। লেখাপড়া ছিল একেবারেই অসম্ভব। তিনি ১৫ বছর বয়সে লেখাপড়ার উদ্দেশে যে নৈশ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন, সেটিও বন্ধ হয়ে যায় তার ভর্তির আট দিনের মাথায়। অন্য কোনো স্কুলে ভর্তি হবেন সে সুযোগও হয়নি। ফলে এ অক্ষরজ্ঞানই ছিল তার একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। সব প্রতিকূতাকে দু’পায়ে মাড়িয়ে নিজেকে ধীরে ধীরে মেলে ধরেন গানে গানে।

শাহ আব্দুল করিমের জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান’, ‘কোন মেস্তুরি নাও বানাইলো’, ‘গাড়ি চলে না চলে না’, ‘আমি কুল হারা কলঙ্কিনী’, ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’, ‘আমি এই মিনতি করিরে’, ‘রঙের দুনিয়া আর চাই না’, ‘সখী কুঞ্জ সাজাও গো’, ‘আমি বাংলা মায়ের ছেলে’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন থেকে শুরু, ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধ ও সর্বশেষ ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ বাঙালিদের দাবি আদায়ের প্রতিটি সংগ্রামে তার রচিত গান দেশের মানুষকে আন্দোলনে প্রেরণা জুগিয়েছে। তবে তিনি ছোটবেলাতেই গানের তালিম নিতে ভুল করেননি। তার গানের ওস্তাদ ছিলেন কমর উদ্দিন, সাধক বশির উদ্দিন ও শাহ ইব্রাহিম মোস্তান। মাত্র আট দিনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়ে বেড়ে ওঠা এ বাউল শিল্পী তার তিরানব্বই বছরের জীবনে দেড় হাজারেরও বেশি গান রচনা করেছেন; করেছেন সুরারোপ।

বাউল পুত্র শাহ নূর জালাল বলেন, জন্ম বাষির্কী উপলক্ষে আজ বিকেলে নিজ বাড়িতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। রাতে স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে বাউল গান পরিবেশন করা হবে।

২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।


এধরনের আরও সংবাদ

Editor: Ataur Rahman
News editor : Joherul Islam
email: newsnat24@gmail.com
Phone: 01717253362, 01744367842
N.C Road, Thakurgaon.