• রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রাম পুলিশকে পিটিয়ে রক্তাক্ত

সাংবাদিকের নাম / ১০২ জন দেখেছেন
আপডেট : শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২

নিউজ ডেক্সঃ জমি বিরোধের জেরে ঠাকুরগাঁওয়ের এক অসহায় নারীকে বেধরক মারপিট করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় আহত ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পৌছে দেয়ায় বেলাল নামে এক গ্রাম পুলিশকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সদর উপজেলার রুহিয়া সেনেহারি এলাকায় ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর অভিযুক্ত কুদ্দুস আলী, আনোয়ার হোসেন (পটল), জীবন, মশিউর, মমিন, আলম মাস্টারসহ জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে স্থানীয়রা তাৎক্ষনিকভাবে প্রতিবাদ মিছিল করে স্থানীয়রা। পরে রুহিয়া থানা পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
স্থানীয়রা জানায়, রুহিয়া সেনেহারি এলাকার কামাল হোসেন বসতভিটার জন্য রেস্ট্রি মুলে জমি ক্রয় করে, দীর্ঘ দিন ধরে ওই জমির কেউ দাবি না করলেও হঠাৎ একই গ্রামের প্রতিবেশি কুদ্দুস আলী ওই জমি নিজের বলে দাবি করেন। এসময় উভয় পক্ষের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কুদ্দুস আলী ও তার ছেলে জীবনসহ কয়েকজন কামাল হোসেনের স্ত্রীকে সামনে পেয়ে পিটিয়ে জখম করে। শুধু তাই নয় তাকে বিভ্রস্ত করে লাঞ্চিত করে তারা। পরে আহত অবস্থায় ওই নারী বিচারের আশায় রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের দিকে রওনা হলে পথে আহত অবস্থায় তাকে দেখতে পায় গ্রাম পুলিশ বেলাল।
পরে তাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় এলাকাবাসিসহ বেলাল ওই নারীকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। কেন ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হলো এ কারনে বাড়ি ফেরার পথে গ্রাম পুলিশ বেলালকে পথরোধ করে জীবনসহ কয়েকজন মিলে বেধরক মারপিট করে। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের বিচার দাবি করে তাৎক্ষনিকভাবে প্রতিবাদ মিছিল করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের দাবি অভিযুক্তরা এলাকার সন্ত্রাসী তারা জমি দখল থেকে শুরু করে দীর্ঘ দিন ধরে অন্যায় কাজগুলো করছে প্রশাসনের সামনেই। তবুও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলেই আজ এমন ঘটনা ঘটেছে। অবিলম্বে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন তারা।
রুহিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অনিল কুমার জানান, এ ঘটনায় কুদ্দুস আলীকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা সন্ত্রাসী। তারা এলাকার পরিবেশ ও আইনশৃংখলা খারাপ করছে। তাদের দৃস্টান্ত শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। একজন নারীকে বাঁচাতে হাসপাতালে পৌছে দেয়া কি অপরাধ। এ জন্য গ্রাম পুলিশ বেলালকে মারধর করেছে। তারা রাস্ট্রের অংশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হওয়া উচিত। মামলা দেয়া হয়েছে আশা করি পুলিশ ব্যবস্থা নিবেন।
এ বিষয়ে রুহিয়া থানার ওসি সোহেল রানা কুদ্দুস আলীকে আটকের বিষয়টি এড়িয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।


এধরনের আরও সংবাদ