• শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টিসিবির পণ্য উধাও ক্ষুদ্ধ কার্ডধারিরা ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রশাসনের সুগারমিল কর্মকর্তা কর্মচারিদের মানববন্ধন ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালিত অফিসে বসেই ধূমপান পিআইও’র প্রকল্পে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ চাষিরাই পারে ঠাকুরগাঁও সুগারমিলকে টিকিয়ে রাখতে-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ খতিবের এমফিল ডিগ্রি অর্জন যৌন কেলেঙ্কারি ফাঁস, কলেজ অধ্যাপকের প্রত্যাহারের দাবি কৃতি শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড়দের সম্মাননা দুদক মামলার আসামি শহিদুলের দপ্তরে দপ্তরে তদবির, সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের হুমকি অপপ্রচার ঠাকুরগাঁওয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে আগুন, আটক-১

ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবির গুলিতে পঙ্গগুত্ব বরণ আর অসুস্থ্য হওয়া মানুষগুলো প্রধাণমন্ত্রী হস্তক্ষেপ চান

সাংবাদিকের নাম / ২৭ জন দেখেছেন
আপডেট : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ গরু জব্দকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবি’র গুলিতে পঙ্গগুত্ব বরণ আর অসুস্থ্য হয়ে বিছানায় পরে থাকা বহরপুর গ্রামের মানুষগুলো সাহায্য সহযোগীতার অভাবে এখন অসহায় হয়ে পরেছে। পরিবারের উপার্যনক্ষম হারিয়ে দিশাহারায় দিন কাটছে অনেকের। ঘটনার এক বছরেও কুল-কিনারা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। প্যাকেজ
জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা হরিপুর। এখানকার মানুষ অনেকটাই অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে দিন যাপন করে। এই উপজেলার বহরমপুর গ্রামে গেল বছরের এই দিনে ঘটে যায় অনাকাঙ্খিত ঘটনা। গরু জব্দকে কেন্দ্র করে বিজিবি ও গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিজিবির গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটলেও গেল এক বছরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত ও আহতের পরিবাররা পায়নি তেমন কোন সহযোগীতা। ফলে গুলিতে আহত হয়ে পঙ্গগুত্ব বরণ ও অসুস্থ্য হয়ে বিছানায় পরে থাকা মানুষগুলো সীমাহীন কস্টে দিন কাটাচ্ছে। কাঙ্খিত সহযোগীতা ও বিচার না পেয়ে এলাকাবাসি উদ্যোগে আজ সকালে বহরমপুর গ্রামে মানববন্ধন, প্রতিবাদ ও স্বরণ সভায় এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আর বিজিবির করা মামলার আতঙ্কে রয়েছে তারা। তাই সরকারের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে দোষি ব্যাক্তিদের বিচার ও সহযোগীতা কামনা করেন স্থানীয়রা।
নিহতের স্বজন, আব্দুল বারেক, জয়নাল, পঙ্গু হওয়া ব্যাক্তি আবুল কাসেম, তৈমুর, নওশাদসহ কয়েকজন জানান, আমরা মহাজন ও জমি বিক্রি করে চিকিৎসা করেছে। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে। সংসারের খরচ ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারছি না। আমাদের মামলা খারিজ করে দিলেও বিজিবির মামলা এখনো আছে। আমরা প্রতিদিন ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছি। ক্ষতিগ্রস্ত হলাম আমরা। আবার আমাদেরকেই বিপদের মধ্যে দিন পার করতে হচ্ছে। আমরা মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী সু দৃষ্টি কামনা করছি। তিনি বিষয়টি না দেখলে বেচে থাকা কঠিন হয়ে পরবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম জানান,তদন্ত প্রতিবেদনটি দ্রæত সময়ের মধ্যে জমা দেয়া হবে। আর বিজিবি.র মামলা বিষয়টি কোর্টের একতিয়ার। কোর্ট নির্দেশনা দিলে তাদেরকে সহায়তা করা হবে।
জেলার হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রæয়ারি বিজিবি ও গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বিজিবির গুলিতে নিহত হয় নবাব,সাদেক, জয়নুল নামে তিনজন। আহত হয় ১৮ জন।


এধরনের আরও সংবাদ

Editor: Ataur Rahman
News editor : Joherul Islam
email: newsnat24@gmail.com
Phone: 01717253362, 01744367842
N.C Road, Thakurgaon.