• মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন

সাংবাদিকের নাম / ১৪০ জন দেখেছেন
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯

ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাক্টর দিয়ে লাখ টাকার ফসল নষ্টের অভিযোগ

নিউজ ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিবাদমান জমি দখল নিতে লাখ টাকার সরিষাক্ষেত ট্রাক্টরের হাল দিয়ে নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় নষ্ট করা হয়েছে ওই জমিতে লাগানো ৪০০টি ইউক্লিপটাস গাছ।

সোমবার বিকাল ৪টার সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বালিয়া বাজারের পার্শ্বে পূর্ব বড়গাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বালিয়াডাঙ্গী থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন বিবাদমান জমির দাবিকরা মালিক হাসিম উদ্দীন।

আসামীরা হলেন-খায়রুল ইসলাম, মনতাজ আলী, নুর মোহাম্মদ, আবুল কালাম, হুসেন আলী, হান্নান আলী, আইয়ুব আলী, আমিন আলী, ইসমাইল হক, নজরুল ইসলাম, জামাল উদ্দীন, খলিলুর রহমান।

অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসিম উদ্দীনের রোপিত প্রায় ১.৫৪ একর জমিতে রোপন করা সরিষাক্ষেত ট্রাক্টরের হাল দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে তার বসতবাড়ীর সীমানার বেড়া।

হাসিম আলী অভিযোগ করে জানান, পৈত্রিক সুত্রে প্রায় ২.৩৯ একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে মমতাজ আলী মাস্টার ও তার পরিবারের সাথে। দু বছর আগে জমি জোর করে দখল নিতে আসলে আমি বাধা দেয়। এতে আমার পায়ের রগ কেটে দেন তারা। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। এরপরেও সোমবার বিকালে ভাড়াটে গুণ্ডা দিয়ে আমার সরিষাক্ষেত নষ্ট করেছে। গাছ নষ্ট করেছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমাকে বাড়ীতে পর্যন্ত ঢুকতে দেয়নি ভাড়াটে গুন্ডার দল। পুলিশি সহায়তা নিয়ে আমি পরে বাড়িতে ফিরেছি।

প্রতিবেশী পাঞ্জাব আলী এক ব্যক্তি জানান, সোমবার বিকালে ঠাকুরগাঁও থেকে ভাড়াটে গুন্ডা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এসে ফিল্মি স্টাইলে জমির ফসল নষ্ট করে। আমরা বাধা দিতে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার হুমকি দেখায়।

প্রতিপক্ষ মনতাজ আলীও ওই জমির মালিক দাবি করে বলেন, ক্ষেত নষ্ট করেছি আমরা। কিন্তু গুন্ডা ভাড়ার বিষয়টি মিথ্যা। আমার পরিবারের লোকজন মিলেই ক্ষেতে ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করিয়েছি। জমির মালিক আমরা। সে সরিষা লাগাবে কেন?

বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, জমিটি নিয়ে দীর্ঘদীনের বিরোধ। একাধিকবার মীমাংসায় বসেও সমাধান হয়নি।

বালিয়াডাঙ্গী থানার এসআই নির্মল বলেন, পুলিশি সহায়তা চেয়েছিল হাসিম উদ্দীন। তাকে পুলিশি সহায়তায় বাড়ীতে পৌছে দেয়া হয়েছে।

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, আমি এই মুহুর্তে মামলার স্বাক্ষ্য দিতে নওগায় অবস্থান করছি। ফিরে গিয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এধরনের আরও সংবাদ